ব্রেকআপের পর হঠ্যাৎ দেখা..!!🙂😓
আজ থেকে প্রায় তিন চার বছর আগের কথা- একটি মেয়েকে একটা ছেলের খুব ভালো লাগতো। মেয়েটিও ছেলেটিকে খুব ভালোবাসতো। এইভাবে কয়েক বছর তাদের প্রেম নিবেদন চলল। একে অপরকে ছেড়ে কোনদিন যাবে না এই রকম অনেক প্রতিশ্রুতি তাদের মধ্যে ছিল। কিন্তু বাস্তব চিত্র টা ছিল অন্য রকম। জীবনের পথ দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে।এখন আর ছেলে মেয়ে টির মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই। তারা একে অপরের থেকে অনেক দূরে চলে গেছে। সেখান থেকে ফিরে আসার মধ্যে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। জীবনে চলার পথে কোনো একদিন...
মেয়ে: চিনতে পেরেছো আমাকে,
ছেলে: তোমাকে চিনতে পারছি।
মেয়ে: অনেক দিন পর দেখা তাই না আমাদের মধ্যে,
ছেলে: হা, প্রায় ৩ থেকে ৪বছর পরে হবে....
মেয়ে: কেমন আছো এখন?? কি করছো এখন???
ছেলে: ভালোই আছি । এই পড়াশুনা শেষ করে একটা কোম্পানি তে কাজ করছি। তুমি কেমন আছো,
মেয়ে: ভালোই আছি। সময় চলে যাচ্ছে
ছেলে: আজকে হঠ্যাৎ এই রাস্তায় তুমি, তোমার তো এই রাস্তাতে আসার কথা নয়। তোমার তো এই রাস্তা ভুলে যাওয়া উচিত।
মেয়ে: এমনি এই রাস্তা ধরে যাচ্ছিলাম। সামনেই আমার পরিচিত একজনের বাড়ি।
ছেলে: ও,আচ্ছা... ভালই তাহলে। তোমাকে আর আগের মত চঞ্চল দেখাচ্ছে না। কি ব্যাপার???
কিছুক্ষন নিরবতা তার পর..😐
মেয়ে: তোমার মনে আছে প্রতি বিকেলে যখন আমরা হোস্টেল এ থাকতাম তখন এই রাস্তায় হতে হাত ধরে কত হেঁটেছি, কত কিছু করেছি এই রাস্তার পাশে। অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি এই রাস্তার উপর।
ছেলে: কিছু কিছু স্মৃতি কখনো ভোলা যায় না, জীবনের পথ এগিয়ে গেলেও ভালো লাগার স্মৃতি মনে থেকেই যায়।
মেয়ে: বিয়ে করলে কাকে?? কে সেই ভাগ্যবান???
ছেলে: বিয়েটা এ জন্মে আর করবো না, "বিয়ে" নামক জিনিসটার প্রতি ঘৃণা জন্মে গিয়েছে।
মেয়ে: কেনো??? এখনো ভালোবাসো আমাকে?
ছেলে: জানিনা তবে,
মেয়ে: তবে কী,
ছেলে: এখন কারও জন্য কষ্ট পাইনা, কারো কলের অপেক্ষায় রাত জেগে অপেক্ষা করি না....
মেয়ে: বাবা খুব অভিমান দেখছি, দেখছি খুব রেগে আছো আমার উপর ???
ছেলে: রাগ বা অভিমান সবার ওপর করা যায়না,
যার ওপর করতাম সে তো চলে গেছে অভিমান কার উপর করবো... অভিমান করেই বা কি হবে, তাকে তো আর ফিরে পাবো না
মেয়ে: এখনো রাগ করে আছো আমার উপর??
ছেলে: রাগ করার অধিকার নেই আমার তোমার প্রতি। রাগটা তার উপর করা যায় যার উপর অধিকার রয়েছে।
এই কথা টা বলে ছেলেটা পকেট থেকে সিগারেট বের করে ধরাই, আর মনের সুখে টানতে লাগলো।
মেয়ে: সিগারেট খাও কেনো, তুমি তো আগে সিগারেট খেতে না । তুমি সিগারেট খাওয়া শুরু করলে কেন???
ছেলে: সিগারেটের ধোঁয়া যদি আমার কষ্ট গুলোকে দূর করে থাকে,
তাহলে কেনো তাকে আপন করবো না..
মেয়ে: কবিতা লেখো এখনো,
ছেলে: বিষন্নতায় ছন্দ হারিয়ে গেছে, মনের মধ্যে আর ছন্দ আসে না।
মেয়ে: আর গল্প,
ছেলে: যার জন্য গল্প লিখতে ভালো লাগতো জীবন থেকে সেই তো হারিয়ে গেছে,
আর লিখে কী করবো.. আর কেউ বা শুনবে সেই ভালোবাসার কাহিনী।
মেয়ে: নতুন কাওকে খুঁজে নিয়ে গল্প লেখো তার জন্য,
ছেলে: কেউ তো পুরাতন হয়নি, কেউ তো মন থেকে হারিয়ে যাইনি। নতুন খুঁজতে হবে কেন...
মেয়ে: মানে,
ছেলে: তাকে তো এখনো ভুলতে পারিনি তার স্মৃতি এখনো মনের মধ্যে গেঁথে আছে, নতুন করে আর ভাবতে পারছি না।
মেয়ে: ফিরে আসলে আপন করে নেবে, তুমি আমাকে আগের মতই কাছে টেনে নিবে। আমি কি আগের মতই তোমায় কাছে ফিরে পাবো???
ছেলে: নতুন কোনো গল্পের চরিত্র বর্তমানে নেই মনের মধ্যে.. আর পুরনো জিনিস নিয়ে ভাবতে চাইনা।
আর এই সব কথা গুলো বলতে বলতে কথার মাঝে একটা ভারী দীর্ঘশ্বাস পড়ল।
মেয়ে: আমি তোমাকে এখনো,
ছেলে : থামিয়ে দিয়ে, ঠিক আছে।
ছেলে: শুনতে চাইনা, দেখতে চাই না নতুন কোনো স্বপ্ন...
মেয়ে: আবার কবে দেখা হবে আমাদের মধ্যে,
ছেলে: ভাগ্য যখন চাইবে,
মেয়ে: আচ্ছা ভালো থেকো.. আজ তাহলে চললাম।
ছেলেটা পিছন দিকে ঘুরে হাটতে শুরু করে দিল,
কারন ছেলেটা অনেক কষ্টে মেয়েটাকে ভুলেছে, চাইনা নতুন করে আবার কষ্ট পেতে.. আবার পুরানো দুঃখ কে জাগিয়ে তুলতে মনের মধ্যে।
মেয়েটা ছেলেটার যাওয়ার দিকে এক পলকে তাকিয়ে থাকে.. এইভেবে
যদি ছেলেটা একটিবার পেছনে ফিরে তাকায়,
কিন্তু ছেলেটা আর পিছন ফিরে তাকাইনি....
কারন সে তার অশ্রুসিক্ত চোখে মেয়েটাকে দেখতে চাইনি.. তাহলে আবার পুরানো স্মৃতি তাজা হয়ে যাবে।
সে নিজ খেয়ালে হেঁটে যেতে থাকে তার গন্ত্যবের দিকে।
হেঁটে যেতে যেতে ছেলেটি মেয়েটির কখন চোখের আড়াল হয়ে যায়..
সে বুঝতেই পারে না অজান্তেই মেয়েটার চোখ বেয়ে দু,ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে....!!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন